৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, কালের কন্ঠঃ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাবের তারতম্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্যান্সারই (৯০%) মানুষের জীবনযাত্রা প্রণালীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস এবং সামাজিক রীতি-নীতি ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাবকে প্রভাবিত করে। যেমন—জাপানে পাকস্থলী ও যকৃতের ক্যান্সার বেশি হয়। কিন্তু সাদা চামড়াবিশিষ্ট আমেরিকানদের তুলনায় জাপানিদের অন্ত্র ও প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার অনেক কম হয়। আবার এই জাপানিরাই যখন আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে, তখন তাদের পাকস্থলী ও যকৃতের ক্যান্সারের হার কমে যায়; অন্ত্র ও প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার আগের তুলনায় বেড়ে যায়। এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে পরিবেশ ও জীবনযাত্রা প্রণালী ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাবের অন্যতম কারণ।
ক্যান্সার ও জীবনযাত্রা প্রণালীকে খাদ্যাভ্যাস, সামাজিকতা বা সামাজিক অভ্যাস ও দৃষ্টিভঙ্গি—এই তিন ভাগে বিন্যাস করা যায়।
খাদ্যাভ্যাস: খাদ্য গ্রহণ প্রণালী এবং পুষ্টি ক্যান্সারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ জন্য কিছু করণীয় রয়েছে।
স্থূলতা পরিহার ও সঠিক ওজন বজায় রাখা : স্থূল দেহের সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে। স্থূলকায় মহিলা এবং পুরুষের মধ্যে ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব একই বয়সের স্বাভাবিক ওজনের মহিলা ও পুরুষের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি হয়। স্থূল বা মুটিয়ে যাওয়া মহিলাদের স্তন ও জরায়ুর ঝিল্লির ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পাশাপাশি স্থূল বা মোটা পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই যথাসম্ভব স্থূলতা পরিহার করে দেহের সঠিক ওজন বজায় রাখা উচিত। Read more