ক্যান্সার স্ক্রিনিং অত্যন্ত জরুরি

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, কালের কন্ঠঃ 

ডা. মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগ, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

একজন সুস্থ ব্যক্তির মধ্যে ক্যান্সারের লক্ষণ হয়তো এখনো প্রকাশ পায়নি, কিন্তু তার আদৌ ক্যান্সার রয়েছে কি না বা হতে পারে কি না—এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে। একেই বলে ক্যান্সার নির্ণয়ের পরীক্ষা বা ক্যান্সার স্ক্রিনিং। এটি খুব জরুরি এ জন্য যে আগে থেকেই স্ক্রিনিং করা হলে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, উন্নয়নশীল দেশে স্তন ক্যান্সার, জরায়ুমুখের ক্যান্সার, মুখগহ্বরের ক্যান্সারের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এগুলোর ক্ষেত্রে স্ক্রিনিং করা উচিত।

Read more

 

 

 

 

ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে দরকার পরিবেশ এবং জীবনযাত্রা প্রণালীর পরিবর্তন

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, কালের কন্ঠঃ  পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাবের তারতম্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্যান্সারই (৯০%) মানুষের জীবনযাত্রা প্রণালীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস এবং সামাজিক রীতি-নীতি ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাবকে প্রভাবিত করে। যেমন—জাপানে পাকস্থলী ও যকৃতের ক্যান্সার বেশি হয়। কিন্তু সাদা চামড়াবিশিষ্ট আমেরিকানদের তুলনায় জাপানিদের অন্ত্র ও প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার অনেক কম হয়। আবার এই জাপানিরাই যখন আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে, তখন তাদের পাকস্থলী ও যকৃতের ক্যান্সারের হার কমে যায়; অন্ত্র ও প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার আগের তুলনায় বেড়ে যায়। এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে পরিবেশ ও জীবনযাত্রা প্রণালী ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাবের অন্যতম কারণ।

ক্যান্সার ও জীবনযাত্রা প্রণালীকে খাদ্যাভ্যাস, সামাজিকতা বা সামাজিক অভ্যাস ও দৃষ্টিভঙ্গি—এই তিন ভাগে বিন্যাস করা যায়।

খাদ্যাভ্যাস: খাদ্য গ্রহণ প্রণালী এবং পুষ্টি ক্যান্সারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ জন্য কিছু করণীয় রয়েছে।

স্থূলতা পরিহার ও সঠিক ওজন বজায় রাখা : স্থূল দেহের সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে। স্থূলকায় মহিলা এবং পুরুষের মধ্যে ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব একই বয়সের স্বাভাবিক ওজনের মহিলা ও পুরুষের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি হয়। স্থূল বা মুটিয়ে যাওয়া মহিলাদের স্তন ও জরায়ুর ঝিল্লির ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পাশাপাশি স্থূল বা মোটা পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই যথাসম্ভব স্থূলতা পরিহার করে দেহের সঠিক ওজন বজায় রাখা উচিত। Read more

 

ইঞ্জেকশনে ভালো হচ্ছে ক্যান্সার, ইঁদুরের ওপর পরীক্ষায় সাফল্য

ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ, টিউমারে প্রয়োগ করা হচ্ছে নতুন দাওয়াই। এতে দেহ শুধু ক্যান্সারমুক্ত হচ্ছে, তাই নয়, ওই টিউমার আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ক্যান্সার বিদায় নিচ্ছে শরীর থেকে। ইঁদুরের দেহে সফল ভাবে চালানো হয়েছে এই পরীক্ষা। 

যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা ক্যান্সার আক্রান্তদের মধ্যে আশা জাগিয়েছে। মানুষের শরীরকেও কি রোগমুক্ত করতে পারবে এই দাওয়াই, কৌতূহল সেটা ঘিরেই। গবেষকরা মানুষের উপর একই পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করতে চলেছেন।

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা চালিয়েছে ইঁদুরের ওপর। তাদের গবেষণালব্ধ ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’ নামক জার্নালে। সেই ফল এতটাই চমকপ্রদ যে অনেক ক্ষেত্রে দুরারোগ্য ক্যান্সারের চিকিৎসায় সুফল দেওয়ার ব্যাপারে তাতে আশার আলো জেগেছে। ইঁদুরের শরীরের টিউমারে একটি বিশেষ ধরনের ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে। তাতে থাকছে ডিএনএ এবং অ্যান্টিবডি।

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা চালিয়েছে ইঁদুরের ওপর। তাদের গবেষণালব্ধ ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’ নামক জার্নালে। সেই ফল এতটাই চমকপ্রদ যে অনেক ক্ষেত্রে দুরারোগ্য ক্যান্সারের চিকিৎসায় সুফল দেওয়ার ব্যাপারে তাতে আশার আলো জেগেছে। ইঁদুরের শরীরের টিউমারে একটি বিশেষ ধরনের ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে। তাতে থাকছে ডিএনএ এবং অ্যান্টিবডি।

Read more

ক্যানসারের প্রকোপ বাড়ছে বছরে মারা যাচ্ছে ৯১ হাজার

মো. কামরুজ্জামান। বয়স ২৮। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হেমাটোলজি বিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মরণব্যাধি ব্লাড ক্যানসারে ভুগছেন তিনি। গেল বছরের ১৪ই নভেম্বর ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হন। ৯০১ ওয়ার্ডের ২৫ নম্বর বিছানায় শুয়ে কী যেন ভাবছেন তিনি। পাশেই তার স্ত্রী বসা। ৩১শে জানুয়ারি সরজমিন ওয়ার্ডে গেলে তার স্ত্রী জানান, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার স্বামীর ব্লাড ক্যানসার হয়েছে। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। শুধু কামরুজ্জামান নন, দেশে বছরে এক লাখ ২২ হাজার লোক ক্যানসারে আক্রান্ত হন। মারা যায় ৯১ হাজার। বাংলাদেশে ১৬ থেকে ১৭ লাখ ক্যানসার রোগী রয়েছেন। ক্যানসারের রোগী বেড়েই চলছে। দিন দিন রোগী বাড়লেও চিকিৎসা নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে রোগী এবং চিকিৎসকদের। বর্তমানে দেশে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতি বছর নতুনভাবে জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয় ২৬ হাজার ৭৯২ জন। এরমধ্যে ১১ হাজার ৯৫৬ জন মহিলা জরায়ুর ক্যানসারে এবং ১৪ হাজার ৮৩৬ জন মহিলা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। মারা যায় প্রায় ১৪ হাজার। বিশেজ্ঞদের মতে, অতিমাত্রায় তামাকজাত দ্রব্য সেবনের কারণে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে ফুসফুস ক্যানসারে। আবার অনিরাপদ খাদ্যগ্রহণকেও চিকিৎসকরা ক্যানসারের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন। কৃষিতে রাসায়নিক ও কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার খাদ্যদ্রব্যকে করে তুলছে অনিরাপদ। এর ওপর রয়েছে ফলমূল ও মাছে ফরমালিনের ব্যবহার। বায়ুদূষণকেও ক্যানসার বিস্তারের আরো একটি কারণ বলে মনে করেন তারা। বাতাসে সীসার পরিমাণ বৃদ্ধি ক্যানসারের ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। Read more