News & Event

ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসায় আর বিদেশ নয় ॥ কালের কণ্ঠ ॥ ১ জুন, ২০১৯

ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ। তিনি সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাদশাহ ফয়সাল স্পেশালাইজড হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটে (বিএমটি) অ্যাসিস্ট্যান্ট কনসালট্যান্ট হিসেবে ১০ বছর কাজ করেছেন। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে এসংক্রান্ত নানা সেমিনারে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। চার বছর আগে এ্যাপোলো হসপিটালস ঢাকায় যোগদান করে এখানকার বিএমটি ইউনিটটিকে আইসোলেটেড হেমাটোলজি ইউনিটে রূপদান করেছেন। বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট নিয়ে কথা বলেছেন তিনি

প্রশ্ন : অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলুন।

ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ : বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন বেশ জটিল ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা। অস্থিমজ্জা হচ্ছে হাড়ের মধ্যে থাকা এক ধরনের নরম টিস্যু। আর স্টেমসেল হচ্ছে অস্থিমজ্জায় থাকা অপরিণত কোষ, যা শরীরে প্রয়োজনীয় রক্তকণিকা বাড়াতে কাজ করে। বেশ কিছু রক্তরোগ ও আরো কিছু অসুখে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই অস্থিমজ্জা এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যাতে জীবন রক্ষার জন্য প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

আমরা ট্রান্সপ্লান্ট প্রক্রিয়ায় রোগীর আক্রান্ত বোনম্যারো কেমোথেরাপির মাধ্যমে নষ্ট করে দাতার শরীর থেকে নেওয়া স্টেমসেল রক্তে প্রবেশের মতো করেই শরীরে প্রবেশ করিয়ে দিই। অর্থাৎ দাতা বা রোগীর দেহ থেকে বিশেষ ধরনের রক্তকোষ (স্টেমসেল) সংগ্রহ করে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না। দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে স্টেমসেলগুলো থেকে নতুন রক্তকণিকা তৈরি হতে শুরু করে।  Read More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *